আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিউনিসিয়ায় নারী-পুরুষ সমান অধিকার বিষয়ক প্রস্তাবিত একটি বিলের ব্যাপারে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দেশটির জনগণ। একদল চাচ্ছেন ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে সেই আইন পাস হোক এবং অন্যদলের দাবি ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার।

গণতান্ত্রিকভাবে দেশটিতে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ধর্মনিরপেক্ষ দল নিদা তিউনিস পার্টির বেজি সাইদ এসেবসি ১৩ আগস্ট বিলটি উত্থাপন করেন।

ধর্মনিরপেক্ষ এই নেতা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদারীকরণ নীতিতে দেশ পরিচালনা করেন। তার উত্থাপিত আইন পাস হলে দেশটিতে মুসলিম কোনো নারী-পুরুষ অমুসলিম কাউকে বিয়ে করতে পারবেন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ইসলামি চিন্তাবিদরা মনে করছেন, নারী-পুরুষ সমান অধিকার আইনের ফলে ইসলামি বিধান লঙ্ঘন হবে। দেশটির সাবেক ধর্মমন্ত্রি নুরিদ্দিন আল-খাদিমি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ ব্যাপারে পবিত্র কুরঅানে স্পষ্টভাবে বর্ণনা রয়েছে; বিশেষ করে সূরা আন-নিসাতে।

খাদিমির মতে, তিউনিসিয়া ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালনা হওয়া দরকার। দেশটির সকল আইনের ভিত্তি ইসলামি বিধান মোতাবেক হওয়া আবশ্যক বলেও মনে করেন তিনি।

মুসলিম অনেক নেতা-কর্মী বিলটির বিরোধিতা করে খাদিমির পাশে দাঁড়িয়েছেন। আল যায়তুনা মসজিদের ইমাম ওমর আল-যাহইয়ায়ী, দেশটির সুপ্রিম ইসলামিক কাউন্সিলের সাবেক প্রধান আবদুল্লাহ আল ওয়াসিফ ওই বিলের বিরোধিতা করে দেয়া পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০১৭)