রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর-হায়দরগঞ্জ ১২ কিলোমিটার ব্যস্ততম সড়ক। প্রায় ৭ বছর এ সড়কটি খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ দেখা দেওয়ার পর গত বছরের শেষের দিকে সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪ কোটি ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৯ টাকা বরাদ্ধ হলে কাজ শুরু করা হয়। শম্ভুত গতির এ কাজে বর্তমানে নিন্মমানের কংকর দিয়ে অনিয়মের মধ্যে সংস্কার কাজের পাশাপাশি সড়কের পাশের মাটি কেটে সড়কের কাজে ফেলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই সড়কের দেবীপুর গ্রামের জনকল্যান বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে গেলে কয়েকজন চালক জানান, অন্য স্থান থেকে ট্রাকে করে মাটি এনে সড়কের পাশে ফেলার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার তার পরিবর্তে অনিয়ম করে সড়কের পাশের মাটি কেটে গর্ত করে সড়কেই লাগাচ্ছে। এ অনিয়ম করে সড়কের কাজ করা হলে কয়েকদিনের মধ্যেই সড়ক ভেঙ্গে যাবে। দীর্ঘ ৬ মাস ধীর গতিতে সংস্কারের কাজ করায় পরিবহন যাতায়াত ও চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রায়পুর অফিস সূত্রে জানাযায় , ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের শুরুতে রায়পুর-হায়দরগঞ্জ ১২ কি.মি সড়কটি মেরামতের জন্য আরটিআইপি-২ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি লক্ষ্মীপুর কার্যালয় থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। ৪ কোটি ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৯ টাকায় মোঃ ফরহাদ হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাছান রূপালী জেবি কাজটি পায়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এ কাজটি চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত৪০ শতাংশ কাজও করেনি। এভাবে কাজ চললে নির্ধারিত তারিখে কোন ভাবেই কাজ শেষ হওয়ার কথা নয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাছান রূপালী জেবি মালিক ফরহাদ হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলি আক্তার হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ওই সড়কের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে । অন্য স্থান থেকে ট্রাকে করে মাটি এনে ওই স্থানে ফেলার নির্দেশনা রয়েছে। তার পরিবর্তে সড়কের পাশের মাটি কেটে সড়কে লাগানো যাবেনা। এ অনিয়ম করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(পিকেআর/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০১৭)