চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে তিনটি নদ-নদী (বড়াল-গুমানী-চিকনাই) নদীর পানি গত কয়েকদিনে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যার পানির কারণে প্রতিদিন উপজেলার নিন্মাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। সঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, এবং ফসলি জমি। মাঠের পর মাঠ তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। শুধু তাই নয় পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদের পানি ফুলে ফেঁপে শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

বড়াল নদী, চিকনাই ও গুমানী নদীর পানি উপচে পড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। উপজেলার নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, ছাইকোলা, বিলচলন ও হরিপুর ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বাড়ি-ঘর। উপজেলার বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী এ সব পরিবার দৈনন্দিন কাজ-কর্মে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বেশি বিপদে পড়েছে তাদের গবাদী পশু নিয়ে। গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার অনেক মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

তাছাড়া বন্যার পানিতে বোনা আমন, আউশ ও সবজি তলিয়ে গেছে। বন্যার পানির তোড়ে বিভিন্ন সড়কে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বেশ কিছু পুকুর। বন্যা কবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত হান্ডিয়াল ও নিমাউচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকেছে অন্ততঃ ২৫-৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কেএম জাকির হোসেন জানান, ‘হান্ডিয়াল ইউনিয়ন এমনিতে বন্যা কবলিত। প্রতিদিন পানি বেড়ে চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় সব গ্রামই প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লা জানান, বন্যার পানি বাড়ছে। কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মানুষের যেন কষ্ট না হয় এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সবাইকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।


(এসএইচএল/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০১৭)