স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গত বছরের তুলনায় তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে। তবে রানা প্লাজাধসের পর রফতানিকৃত বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্যের দাম বাড়েনি।

শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রফেসর আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, অর্থনীতিবিদ মামুনুর রশীদ, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

‘বাংলাদেশ ইন রিজিওনাল ট্রেড অ্যান্ড কানেকটিভিটি এ পলিটিকো-ইকোনমিক অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সিজিএস।

পশ্চিমা ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ক্রেতারা তৈরি পোশাকের কোনো দাম বাড়ায়নি। অথচ অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের পরামর্শে আমরা গ্রিন কারখানা, ফায়ার সেফটিসহ সবকিছু করলাম। কিন্তু তারা পোশাকের দাম বাড়ায়নি।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স নেই। আমি তাদের বলছি, আপনারা শুধু বাংলাদেশে কেন, ভিয়েতনাম, চীন যাচ্ছেন না কেন?

তোফায়েল আহমেদ বলেন, একমাত্র বাংলাদেশেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য নেই। জাতীয়, অর্থনৈতিক স্বার্থে অনেক দেশেই রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য রয়েছে।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ৮ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। ২০২১ সালে সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ তার দেশি শিল্পের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয় না। সব দেশই নিজের শিল্পকারখানাকে এগিয়ে নিতে চায়। এটা ঠিক ভারত দুটো পণ্য ছাড়া সব পণ্যে কোটা, ডিউটি ফি সুবিধা দেয়। আমাদের পাটের রফতানির ২০ শতাংশই ভারতে রফতানি হয়। তাই ভারত পাটজাত পণ্যে অ্যান্টি ড্যাম্পিং শুল্কারোপ করেছে, তবে কাঁচা পাটে নয়। কারণ কাঁচাপাট তাদের বেশি দরকার। আমরা অ্যান্টি ড্যাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য কথা বলেছি, আরও বলব।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৯, ২০১৭)