স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। কিন্তু রোববার সকাল থেকেই তেমন ভিড় নেই কাউন্টারগুলোতে। এমনকি, যাত্রীদেরও ভিড় নেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

রবিবার সকাল ১০টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খোলেনি বেশিরভাগ কাউন্টার। এর মধ্যে কয়েকটিতে চলছে ধোয়া-মোছার কাজ ও নির্মাণের তাড়াহুড়ো। তবে টিকিট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা ছাড়াও ময়লা-আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রীর ছড়াছড়ি দেখা যায় টিকিট কাউন্টারগুলোর চারপাশে।

এদিকে, যে কয়েকটি কাউন্টার খুলেছে সেগুলোতে মাস্টার না আসায় তারাও টিকিট বিক্রি বা বা টিকিটের কোনো হদিস দিতে পারছেন না। মাইকে দু-একবার সব কাউন্টার খোলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না পরিস্থিতির।

অন্যদিকে, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথমদিন টিকিটপ্রত্যাশী মানুষের ভিড় নেই বললেই চলে। যথাযথ প্রচারণার অভাব ও লঞ্চের রেওয়াজ অনুযায়ী লঞ্চেই টিকিট বিক্রি বা ফোনের মাধ্যমে টিকিট নিশ্চিতের ব্যবস্থা থাকায় অগ্রিম টিকিট সংগ্রহে আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। তবে কিছু যাত্রী অগ্রিম টিকিটের খোঁজে এলেও সার্বিক অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে অপেক্ষায় থাকেন কাউন্টার খোলার।

কথা হয় টিকিটপ্রত্যাশী ঝালকাঠির রেজাউলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ৩০ তারিখের টিকিট কিনতে এসেছি। পত্রিকায় দেখলাম আজ থেকে টিকিট দেওয়া হবে। এসে দেখি কাউন্টারে কেউ নেই। আমি সুন্দরবনের টিকেট কাটব, কিন্তু সেখানে কোনো মানুষ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বরিশালের টিকিট কিনতে হচ্ছে।’

হুলারহাটের টিকিট কিনতে আসা শফিউল বলেন, ‘আমি ৩০ তারিখের টিকিট কিনতে এসেছি। কিন্তু কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে কোনো টিকেট নেই। সব আগে থেকেই বুকিং হয়ে আছে। ১০ মিনিটে কিভাবে সব টিকিট বুকিং হলো বুঝতে পারছি না।’

বিষয়টি খোলাসা করলেন মেসার্স শাহরুক এন্টারপ্রাইজের বুকিং সহকারী ইকবাল। তিনি বলেন, ‘বাস বা ট্রেনে যাতায়াতকারীরা অনেক সময় যান পরিবর্তন করেন। কিন্তু লঞ্চের ক্ষেত্রে এমন না। প্রায় একই লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন অনেকেই, তাই লঞ্চ মালিক বা মাস্টারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। পরে প্রয়োজনে ফোনেই টিকিট কনফার্ম করে রাখেন।’

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৭)