স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে খালেদার আদালত পরিবর্তন হয়নি বলে জানান আইনজীবীরা। এখন এই আদালতেই খালেদার মামলার শুনানি হবে বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

আদালত খালেদার এই আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে বলেছেন, বার ও বেঞ্চের মাঝে সু-সম্পর্ক থাকবে। আইনজীবীদের আচরণ সংযত হওয়া উচিত।

রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

গত ১০ আগস্ট খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষ করে আদেশের জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। ১৭ আগস্ট আবেদনের আদেশের দিন পিছিয়ে ২০ আগস্ট ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট খালেদার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৬ আগস্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবেদন করেন। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত ৫ এ বর্তমানে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলছে। এর আগেও খালেদা জিয়ার আবেদনে এই মামলায় আদালত পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ৬ কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।

জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৭)