চাঁদপুর প্রতিনিধি : জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাইমচর উপজেলার ৫নং হাইমচর ও ৪নং নীলকমল ইউনিয়নে গত কয়েকদিনে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়েছে এবং হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় অসংখ্য পরিবার।

অনেকইে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছে। ভয়াবহ ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারানোর ভয়ে নির্ঘুম রাত পাড় করছে নদী স্বীকৃতি হাইমচর ইউনিয়ন ও নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালার পরিবারগুলো।

ভাঙনের শিকার আল-আমিন, আবু জাফরসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মেঘনায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তাদের বসতঘরগুলো হাইমচর ইউনিয়নের ১, ৪, ৬, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড নদীর গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। তাদের বসতঘরসহ এতে প্রায় ৫০টিরও উপর ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র সড়িয়ে নিতে হয়েছে। অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেহনুদ্দিন বলেন, আমার ওয়ার্ডে গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে ৪১ টি পরিবারের মধ্যে এখন মাত্র ১২টি বসত ঘর রয়েছে। বসতভিটা হারিয়ে লোকজন কেউ নিজস্ব জায়গা কিনে বসতঘর উঠিয়ে বসবাস করছে। কেউ আবার গুচ্চগ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। নদীর পারের পরিবারগুলো বর্তমানে অনেক আতংকের মধ্যে রয়েছে।

হাইমচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদাত সরকার জানান, হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে মেঘনায় ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে তার ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক বসত ঘর নদীতে বিলীন হয়েগেছে। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিন হাইমচর ইউনিয়নের হাজারো পরিবার ভাঙাগনের শিকার হবে।

নীলকমল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার জানান, হঠাৎকরে মেঘনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে আমার ঈশানবালাবাসী। এপর্যন্ত প্রায় ৩শ’ ঘরভিটা বিলীন হয়েগেছে। নদী সিকস্তি পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ত্রান সামগ্রী বিতরণ করার প্রস্তুতি চলছে।

মেঘনার ভাঙ্গনের খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবু হাসনাত মোঃ মঈন উদ্দিনসহ পানি উন্নয়নবোর্ডের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।


(ইউএইচ/এসপি/আগস্ট ২১, ২০১৭)