নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলার খাসাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি জরাজীর্ণ কক্ষে চলছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। জরাজীর্ণ ভবনটি যে কোন সময় ধ্বসে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন নির্বিকার।

জানা গেছে, বিগত ১৯৯২সালে পূন:নির্মিত ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটির আজ জরাজীর্ণ অবস্থা। ভবনটির একটি কক্ষ অফিস ও ৩টি শ্রেণীকক্ষ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কক্ষগুলির যেখানে সেখানে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। দেয়ালের পলেস্তার উঠে গেছে। এ ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে ছাদ স্যাঁত-স্যাঁতে হয়ে যায়।

অনেক সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও লেখাপড়া ব্যাহত হয়। এছাড়াও ২০ বছরের পুরনো শ্রেণীকক্ষগুলি সংস্কারের সরকারি কোন উদ্যেগ নেই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান, উপজেলার ঘাটনগর ইউপির খাসাহার গ্রামে ১৯৭০ সালে .৮৪শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষায় ফলাফল ভাল। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিশু থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত দুই শিফ্টে প্রায় দেড়শতাধকি শিক্ষার্থী জরাজীর্ণ শ্রেণী কক্ষে লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয়টির দেয়াল বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যাওয়ায় মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে বসে পাঠ নিতে ভয় পায়।

ওই কারনে আমাদেরও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তার পরেও আমরা পাঠদান অব্যাহত রেখেছি।

তিনি আরো জানান, ২০১৩ সালের জুন মাসে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করলেও তিনি কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির শ্রেণী কক্ষগুলির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এজন্য আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে সংশিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে, বিদ্যালয়টির যাবতীয় বিবরন অধিদপ্তরের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান।

(বিএম/এটি/এপ্রিল ১১, ২০১৪)