রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে অতীতের রেকর্ডভাঙা ভয়াবহ বন্যার পানিতে কৃষিভূমি নিমজ্জিত থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির। এ অঞ্চলে উৎপাদিত হাজার হাজার হেক্টর সবজির বাগান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। প্রয়োজনের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তরিতরকারি। ভোগান্তিতে পড়েছে নিন্ম আয়ের লোকজন।

যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে কুমড়া, লাউ, করলা, বেগুন, শশা, পেঁপেসহ নানা জাতের গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এ অঞ্চলের উৎপাদিত সবজি জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার চাহিদার যোগান দিয়ে কিছুটা লাভবান হলেও এবারের দু দফার বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে ফসলি জমির।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানিয়েছেন, এ মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় ৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ হেক্টর জমির সবজি।

দ্বিতীয় দফা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় পঁচে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে জেলার ৭টি উপজেলার কৃষকদের সবজির বাগান। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এবার জেলাবাসীর তরিতরকারির চাহিদার যোগানেই ঘাটতি পড়বে বলে বণিক সমিতির আশঙ্কা। তবে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

এ অঞ্চলে সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় সরকারি সহযোগিতা ও কৃষি বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা।

(আরআর/এসপি/আগস্ট ২২, ২০১৭)