কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : এ যেন মরণ ফাঁদ। ব্রিজের একপাশ মাঝ দিয়ে কাত হয়ে গেছে, অন্যপাশ দিয়ে ওঠারই উপায় নেই। ব্রিজের এ বেহাল দশায় এখন কলাপাড়া শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে  স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এই বর্ষা মৌসুমে বিকল্প পথে যাতায়াত আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী গ্রামের ব্রিজটি গত দু’বছর ধরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের পশ্চিম চর বালিয়াতলী গ্রামের মানুষের মূলসড়কে যোগাযোগের জন্য প্রায় ১০ বছর আগে এ ব্রিজটি নিমার্ণকরা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু সড়ক যোগাযোগের যোগাযোগের একমাত্র আয়রণ ব্রিজটি প্রায় দু’বছর বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে পশ্চিম চর বালিয়াতলীর পাঁচ শতাধিক পরিবারের উপজেলা সদরসহ সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে।
যে কোন সময় সম্পুর্ণ বিধজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী কোমলমতি শিশুরা। তাদেরকে প্রায় দু’কিলোমিটার পথ ঘুরে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।
স্থনীয়রা জানান, ব্রিজটি না থাকায় তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাতে তো এই ব্রিজ দিয়ে কোথাও যাওয়া যায় না। অন্যপাশ দিয়ে ব্রিজে ওঠাই কষ্টকর। এমনকি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তাদের কাঁধে করে নিতে হচ্ছে বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিন হাওলাদার জানান, ব্রিজটি মেরামত না করায় মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে এটি মেরামত করা দরকার।
কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী প্রণব কুমার সরকার জানান, অনেক আগে ব্রিজটি করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে জনস্বার্থে ব্রিজটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
(এমকেআর/এএস/জুন ২৮, ২০১৪)