আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাতে চালানো এক জঙ্গি হামলায় ৫ পুলিশ নিহত হয়েছেন।

মিয়ানমার সরকারকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা ২৪টি পুলিশ পোস্টে হামলার চেষ্টা করে। তারা সেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ারও চেষ্টা চালায়।

এসব হামলার সঙ্গে জড়িত ৭ রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গিও গতরাতে নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

এরআগে গেল বছরের অক্টোবরে প্রায় একই ধরনের এক হামলায় ৯ পুলিশ নিহত হওয়ার পর এই রাজ্যে ব্যাপক সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ ওঠে। রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ ও তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও ওঠে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘের আশঙ্কা ছিল মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী হয়তো সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।

রয়টার্স বলছে, সেবার মিয়ানমারে সেনা অভিযান শুরুর পর প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে ঢোকেন।

এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করতে না করতেই আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। চলতি মাসের শুরুর দিকে মংড়ু এলাকায় সাত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এরপর চলতি মাসের ১২ তারিখে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলে রাখাইনে কয়েকশ সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার।

এ দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ফের বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছেন রোহিঙ্গারা। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছেন।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৭)