পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম গত ১৫ জুন থেকে ২৪ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত দায়সারাভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে প্রায় তিন হাজার লোক ভোটা হতে পারেনি।

জানা যায়, গত ১৫ জুন থেকে হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হলেও তথ্য সংগ্রহকারীদের উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক ফরম সরবরাহ না করায় তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটারদের নাম অর্ন্তভুক্ত ও মৃত. ব্যাক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ করেনি। এছাড়াও হালনাগাদের জন্য সরবরাহকৃত ফরম সংকটের কারনে প্রায় তিন হাজার ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে। জানা যায়, পেকুয়া নির্বাচন অফিসের কোন কর্মকর্তা না থাকায় এমএলএসএস আলমাছ হোসেন খোকন সকল কিছু দেখাশুনা করেন। আর এ সুযোগে নির্বাচন অফিসের হয়ে তথ্য সংগ্রহকারীরাও বাড়ী বাড়ী গিয়ে ফরম সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা না করায় নির্ধারিত সময়ে অনেকেই ভোটার হতে পারেনি। তথ্য সংগ্রহকারীরা জানায়, আমাদের নাম মাত্র কয়েকটি করে তথ্য সংগ্রহ ফরম দেওয়ায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাইনি। এছাড়া মৃত.ব্যাক্তিদের নামও বাদ দেওয়ার কাজ করিনি। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী নাজেম উদ্দিন বাড়ি বাড়ি না যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাকে মাত্র কয়েকটি ফরম দেওয়া হয়। পেকুয়া সদরের সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা পেকুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হানিফ চৌধুরী জানান, আমার কাছে ফরম আসে ১৬জুন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়েছে। পরে ফরম দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। বিজিসি ট্রাস্ট ইউনির্ভাসিটির এলএলবি ৭ম সেমিষ্টারে পড়ুয়া ছাত্র ও পূব গোঁয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মোবাশ্বের হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে ভোটার হতে এসেছিলাম বাড়ীতে কিন্তু ফরম সংকটের কারনে ভোটার হতে পারিনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ থাকা সত্ত্বেও তথ্য সংগ্রহকারীর স্বাক্ষাত ও ফরম না পাওয়ার কারনে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করতে পারিনি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, আর ভোটার হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় কিনা আশংকায় আছি। ওই এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার মা মারা গেছে ২বছর হলো, তথ্য সংগ্রহকারী না আসায় তাহার নাম ভোটার তালিকা হতে বাদ দিতে পারিনি। এব্যাপারে পেকুয়া নির্বাচন অফিসের দায়িত্বে থাকা কুতুবদিয়া নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান দাবি করেন, ফরম সংকট হয়নি। তবে বিশেষ এলাকা হওয়ায় যথাযথ কাগজ পত্র দিতে না পারায় অনেকে ভোটার হতে পারেনি।
(এমকেইউ/এএস/জুন ২৮, ২০১৪)