বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগীতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত সুমন বিশ্বাসকে লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুমনকে গ্রেফতারের কথা জানান পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।

এ সময় বিজয় বসাক আরও জানান, পুলিশ হেডকোয়াটর্সের এলআইসি শাখা ও লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনার আমতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল ওয়ারেসের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করে বরগুনা জেলা পুলিশ।

পরে সুমন বিশ্বাসের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরগুনার বেতাগী থেকে নির্যাতিত শিক্ষিকা ও তার স্বামীর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে এ মামলার ছয় নং আসামি হাসান ওরফে রবিউল, তিন নং আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় আব্দুল হাকিম হাওলাদার এবং কুদ্দুছ কাজি নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার এজহারভুক্ত ছয় নং আসামি হাসান ওরফে রবিউল এবং তিন নং আসামি মো. জুয়েলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের হিরণ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস এলাকায় ‘রামদা সুমন’ নামেই বেশি পরিচিত।

স্থানীয় এক প্রভাবশালী ইউপি সদস্যের ছত্রছায়ায় এলাকায় ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে সুমনের। এ বাহিনীর প্রধান হিসেবে সুমন বিশ্বাস ওরফে রামদা সুমন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।

গত ১৭ আগস্ট বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পরে বিদ্যালয়ে কক্ষে বসে স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন নির্যাতিত ওই শিক্ষিকা।

এ সময় স্কুলের পাশে স্থানীয় বখাটে সুমনসহ তার সহযোগীদের অবস্থান টের পেয়ে ভয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান দরজায় তালা দিয়ে বন্ধ কর দেন ওই শিক্ষাকা।

পরে সুমন ও তার সহযোগীরা তালা ভেঙে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষিকার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রেখে অপর একটি কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে পাশবিক নির্যাতন করে।

এ ঘটনায় ওদিন রাতেই সুমনকে প্রধান আসামি করে সুমনের পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৭)