স্টাফ রিপোর্টার : এতো দিন কালো টাকা সাদা করা যাবে না বলে ঘোষণা দিলেও কথা রাখতে পারেননি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অবশেষে আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বেশ কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনেন। তিনি বলেন, ‘আবাসন খাতে প্রতি বর্গমিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগ মেনে নেয়ার বিধানটি কর প্রদান পদ্ধতিতে সরলীকরণমাত্র।’ এর আগের অর্থবছরেও এ খাতে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘আয়কর অধ্যাদেশে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে কারও কারও মাঝে বিভ্রান্তি আছে। অর্থ আইন ২০১১ এর মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিরে বিনিয়োগকৃত অর্থ বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়ার বিধান করা হয়। বাস্তবে এ বিধানের সুযোগ করদাতারা গ্রহণ করে না। এই সুযোগ রাখার জন্য এ সংক্রান্ত বিধানটি তাই বাতিলের প্রস্তাব করছি।’

মুহিত বলেন, ‘কেউ কেউ অতীতে তার আয়ের ওপর সঠিকভাবে কর পরিশোধ না করলে পরে প্রযোজ্য কর এবং জরিমানা পরিশোধ করে কর অনারোপিত আয়ের কর পরিশোধ করতে পারে। সেক্ষেত্রে করদাতাকে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। প্রচলিত হারেই তাকে জরিমানাসহ কর দিতে হয়।’

এ ধরনের সুযোগ কর প্রদান ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রয়োজন। তাই এ দুটি বিধান অব্যাহত রাখা যায় বলে মত দেন অর্থমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে কোনো খাতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না রাখার কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে ৫ জুন জাতীয় সংসদে মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট পেশ করেন মুহিত। এবারের বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। যাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী রবিবার বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুন ২৮, ২০১৪)