স্টাফ রিপোর্টার : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের চাকরির মেয়াদে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা হতে এসব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে তার অনুলিপি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, পাঠানো ওই রেকর্ডপত্রের মধ্যে বিচারক হিসেবে বিচারপতি জয়নুলের যোগদানপত্র ও অবসর গ্রহণের তারিখ সম্বলিত কাগজপত্র, চাকরির সূত্রে বিভিন্ন বেতন-ভাতা, অবসর সুবিধাসহ বিভিন্ন খাতের আর্থিক বিবরণী রয়েছে।

স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই বিচারপতি জয়নুলকে নোটিশ পাঠায় দুদক। ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দুদকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর সুষ্ঠু যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র, কাগজপত্রাদি পর্যালোচনার জন্য গত ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠান দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।

চিঠিতে বলা হয়, বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের চাকরির মেয়াদ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও চাকরি সূত্রে বিভিন্নখাতে গৃহীত অর্থের বিবরণীর কাগজপত্রাদি প্রয়োজন। এরপর আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী এ রেকর্ডপত্র দুদকে পাঠান।

এর আগে গত ২ মার্চ অনুরূপ অনুরোধ জানিয়ে রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। তখন সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দিয়ে দুদককে বলা হয়েছিল, ‘বিচারপতি জয়নুল আবেদীন দীর্ঘসময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি অনেক মামলার রায় প্রদান করেন। অনেক ফৌজদারি মামলায় তার দেয়া রায়ে অনেক আসামির ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে।’

‘সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি জয়নুলের দেয়া রায় সকলের উপর বাধ্যকর। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তার দেয়া রায়সমূহ প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক হবে। ফলে তার বিরুদ্ধে কমিশনের কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না।’

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০১৭)