স্টাফ রিপোর্টার : ফেরদৌস আহমদ কোরেশী চেয়ারম্যান ও মহাসচিব এম এ হোসেনের নেতৃত্বাধীন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) কমিটি বৈধতা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেয়া চিঠি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, চেয়ারম্যান এম দেলাওয়ার হোসেন ও মহাসচিব এহসানুল হক সেলিমের নেতৃত্বাধীন কমিটি কেন গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী (চেয়ারম্যান), নিলুফার পান্না কোরেশী (কো-চেয়ারম্যান) ও এম এ হোসেনকে (মহাসচিব) উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মহাসচিব এহসানুল হক সেলিমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুলজারির আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

এর আগে গত ২২ জুন নির্বাচন কমিশনের এক চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পিডিপির মহাসচিব এহসানুল হক সেলিম রিট আবেদনটি করেন।

ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে এম দেলাওয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ও এহসানুল হক সেলিমকে মহাসচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই দিনই নবগঠিত কমিটি বৈধতা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের আবেদন করে।

এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে ২২ জুন উভয় পক্ষকে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে এম দেলাওয়ার হোসেন ও এহসানুল হক সেলিমের কমিটিকে কমিশন জানায়, তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে ফেরদৌস আহমদ কোরেশীকে নির্বাচন কমিশন দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলে।

এছাড়াও ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নীতিমালা, ২০০৮’ ও ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ অনুযায়ী দলের গঠনতন্ত্রে যেসব অসঙ্গতি বা অসামঞ্জস্য রয়েছে তা সংশোধন করে তা ১৩ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়।

পরে নির্বাচন কমিশনের ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন নতুন কমিটির মহাসচিব এহসানুল হক সেলিম। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়েই আদালত এই রুল জারি করেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৮, ২০১৭)