ত্রিশাল প্রতিনিধি : ঈদের আমেজ যখন সবার মাঝে বিরাজ করছে, নতুন সাজে প্রস্তুতি নিচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ঠিক তখন ছিন্নমুল ভবঘুরে শিশুদের খোঁজই বা কজনে রাখে। ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধলা ভবঘুরে আশ্রম কেন্দ্রের তিন শতাধিক শিশু যাদের বছরের প্রতিদিনের মতই দুটি ঈদ কেটেছে। তবে এবারের অন্যরকম ঈদ পালন করতে যাচ্ছে ভবঘুরে এই এতিম শিশুদের। অশ্রুজলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করলো তাদের অগ্রীম ঈদ আনন্দ।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় পরিচালিত ধলার ভবঘুরে আশ্রমে শিশুরা জানেনা বাহিরের আলো বাতাস কি, ঈদের আনন্দই বা কাকে বলে। পরিবার পরিজনের সাথে কখনো ঈদের আনন্দন বিনিময়ের সুযোগ হয়নি তাদের। তবে আসন্ন ঈদ-উল-আয্হা উদ্যাপনে অসহায় ছিন্নমুল এই এতিমদের পাশে দাড়ালেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজাফর রিপন। তিনি অসহায় শিশুদের মাঝে বিতরণ করলেন ঈদ সামগ্রী হিসেবে এক জোড়া স্যান্ডেল, শার্ট, প্যান্ট ও ঈদের খাবার। মঙ্গলবার দুপুরে ধলা আশ্রমে এসব বিতরনের সময় আনন্দের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন মুহুর্তের। শিশুরা নতুন জিনিসপত্র পেয়ে কেউবা পৃথিবীকে নতুন করে চিন্তা করে আবার কেউবা বাড়িতে যাওয়ার জন্য চিৎকার শুরু করে।

জানা যায় পরিচয়হীন বিভিন্ন ছিন্নমুল এতিম শিশুদের এখানে পুর্নবাসনের জন্য সমাজকল্যান মন্ত্রনায়লয আশ্রমে পরিচালনা করে থাকে। এখানে বন্দীদের কেউ কেউ ৫/৭ বছর ধরে বন্দী জীবন যাপন করলেও কখনো তাদের খোজ কেউ রাখেনি। বিভিন্ন গনমাধ্যম ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকে সংশ্লিস্ট প্রশাসন এদের খোজ খবর নিতে শুরু করে।

এরকই একজন সাব্বির (১১) নামের এক শিশু বলে সে দীর্ঘনি যাবৎ এখানে আছে। বাড়ি যাওয়ার জন্য উপস্থিত সবার কাছে আতব চিৎকার করতে থাকে। সোহেল নামের এক এতিম বলেন আমাদের খোজ কেউ নেই না, আমি এখানে ৫ বছর যাবৎ বন্দি আছি।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন জানান, ধলা আশ্রমের শিশুদের মানবেতর জীবন যাপন দেখে নিজ উদ্যোগে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তায় এসব শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়। এদের পুর্নবাসনের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অবহিত করেছি।

(এমএন/এএস/আগস্ট ২৯, ২০১৭)