বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের ভান্ডারীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে কারা তাদের হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় শয়নকক্ষ থেকে নিহত মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন তাতিয়া বেগম (৩৩) ও তার শিশুকন্যা আয়শা খাতুন (৭)। তাতিয়া বেগমের স্বামী গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় নৈশপ্রহরি হিসেবে কর্মরত আছেন।

স্থানীয়রা জানায়, নামুজা মজিদপাড়ার গোলাম মোস্তফা ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। এ কারণে তার স্ত্রী তাতিয়া ও মেয়ে আয়েশাকে শ্বশুরবাড়ি এলাকা ভান্ডারীপাড়ায় অবস্থিত হাফিজার মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে রেখে যান। আর ব্যবসায়িক কারণে হাফিজার মাস্টার পুরো পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরে বসবাস করেন।

মঙ্গলবার সারাদিন গড়িয়ে যাওয়ার পরও মা-মেয়ে ঘর থেকে বাইরে না আসায় প্রতিবেশীরা সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে ডাকতে যায়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাতিয়ার মা মরিয়ম বেগমকে খবর দেন।

খবর পেয়ে মা মরিয়ম বেগম তার ছেলে আব্দুল মোমিনকে সঙ্গে নিয়ে তাতিয়া বেগমের ভাড়া বাড়িতে যান। ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে ডাকাডাকি করেন।

কিন্তু সাড়া না পেয়ে আব্দুল মোমিন প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেন। তবে বোন তাতিয়ার শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ থাকলেও পাশের ঘরের দরজা খোলা ছিল।

সেখান দিয়ে প্রবেশ করে শয়নকক্ষে বোন ও বোনের শিশু সন্তানের মরদেহ দেখতে পান। এ সময় নিহতের শয়ন কক্ষের পেছনের জানালা ভাঙা দেখতে পান। স্থানীয়রা জানান, মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি এমদাদ হোসেন নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তবে তিনি হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেননি। মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার আলামত মিলেছে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৯, ২০১৭)