চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে গুমানী নদীতে দেয়া অবৈধ সোঁতি বাঁধ কেটে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় বাঁধের পক্ষের লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়।

গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধরমগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর বুধবার জরুরীভাবে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে সকল জলাধার পরিদর্শন করে প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণের শুরুতেই নির্মূল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন দাখিল করতে এবং সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে চিঠি দিয়েছেন ইউএনও।

আহতরা হলেন- নিমাইচড়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের আউয়াল মুন্সীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৬), মোহাম্মদ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩২), ইসমাইল মুন্সীর ছেলে আনিসুর রহমান (৩৫) ও চিনাভাতকুর গ্রামের ক্ষিতিশ হালদারের ছেলে শংকর হালদার (৫৫)।

জানা গেছে, গুমানী নদীতে গত কয়েকদিন আগে শংকর হালদার ও বাসু হালদার গং ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে সোঁতি বাঁধ স্থাপন করে। এতে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হয়। পানির স্রোতের কারণে নদী পাড়ের মানুষের ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হলে এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সোঁতি বাঁধ অপসারণ করতে গেলে সোঁতি স্থাপনকারীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন বলেন, নদীতে সোঁতি বাঁধ দেয়া অবৈধ। সোঁতি বাঁধগুলো অপসারণ করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অবৈধভাবে দেয়া সোঁতি বাঁধ অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে সোঁতি বাধ স্থাপন করতে দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।

থানার ওসি এসএম আহসান হাবীব জানান, এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লা জানান, সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলার কোথাও কোন সোঁতি বা পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। মৎস্য কর্মকর্তা ও সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে চিঠি দেয়া হয়েছে।


(এসএইচএল/এসপি/আগস্ট ৩০, ২০১৭)