আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত এক সপ্তাহে মিয়ানমারের উত্তরপশ্চিমের রাজ্য রাখাইনে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় ৪০০ জন নিহত হয়েছে। মিয়ানমার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাখাইনে পুলিশ চৌকি ও সেনা ঘাঁটিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার নতুন করে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই ঘটনার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

শুক্রবার কর্মকর্তারা তাদের নতুন পরিসংখ্যানে জানিয়েছেন, ‘৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার লোক বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষ এবং পরবর্তী সেনা অভিযানে প্রায় ৩৭০ রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ জন, দুই সরকারি কর্মকর্তা এবং ১৪ জন বেসামরিক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছে।

সেনাবাহিনীর দাবি, ‘চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে তারা দমন অভিযান চালাচ্ছে। তাদেরকে বেসামরিক মানুষদের সুরক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দাবি, দেশ ছাড়তে বাধ্য করতে সেনাবাহিনী তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিচ্ছে এবং নির্বিচারে হত্যা করছে।

গত বছর অক্টোবরে তিনটি সীমান্ত পুলিশ পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় নয় পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান চালানো হয়। ওই সময় সেনাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এর আগে, ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতউইতে রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় ২০০ মানুষ প্রাণ হারায়। ওই সময় বাস্তুচ্যুত হয়েছিল প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭)