রাজন্য রুহানি, জামালপুর : গৃহবধূর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার নিয়ে স্বামীকে গণপিটুনি, ওসিসহ ৫ কনস্টেবল আহত ও পুলিশ পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠের কলাবাঁধা গ্রামে। গৃহবধূটি একজন গার্মেন্টস কর্মী। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গৃহবধূটি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। ঈদের ছুটিতে সে স্বামীর বাড়িতে এসেছিল।

গৃহবধূ মিনা বেগমকে ৩ দিন আগে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে রাখে তার স্বামী মৃণাল হক (৩৩)। মৃণাল কলাবাঁধা গ্রামে আব্দুল হকের পুত্র। তাদের দুই সন্তান আগে থেকেই তাদের নানা বাড়িতে ছিল। মৃণাল রবিবার সকালে তার শ্বশুর বাড়ি চারিয়াপাড়া গ্রামের ময়নাল হোসেনের বাড়িতে যায়। স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানালে শ্বশুরবাড়ি ও গ্রামের লোকজনের সন্দেহ হয়। তাকে আটক করে চাপ প্রয়োগ ও পিটুনি দিলে সে স্বীকার করে যে, সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন এসে মৃণালকে গণপিটুনি দেয়।

দুপুরে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল করিমের নের্তৃত্বে পুলিশ মৃণালকে উদ্ধার করতে গেলে উত্তেজিত লোকজনের হামলার শিকার হয়ে আহত হন ওসিসহ ৫ পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় ভাংচুর করা হয় পিকআপ ভ্যানটিও। এ ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পাশের উপজেলা ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃণালের বাড়ি থেকে পুলিশ গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাঁধা গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গার্মেন্টসকর্মী গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

(আরআর/এএস/০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭)