আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়াকে শাসিয়ে এবার ক্ষেপণাস্ত্রমহড়ায় নেমেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

পিয়ংইয়ংয়ের ষষ্ঠ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সকাল থেকে স্থল ও যুদ্ধবিমান থেকে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া শুরু করেছে সিউল।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাট্টিস যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার হুমকির ‘ব্যাপক সামরিক জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পর ‘লাইভ-ফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া শুরু করলো দক্ষিণ কোরিয়া।

রবিবার উত্তর কোরিয়া দাবি করে, তারা হাইড্রোজে বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এ ধরনের হাইড্রোজেন বোমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য উসকানি হিসেবে কাজ করছে যেন।

গত দুই মাসে উত্তর কোরিয়া দুটি আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে একটি জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়া হুমকি দেয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাবে। কিন্তু হামলা চালানো থেকে বিরত থাকলেও উত্তর কোরিয়া আবারো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।

এই মহড়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ‘সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা’ প্রদর্শন করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র নেই। মহড়ায় তারা কনভেনশনাল অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার পুঙ্গে-রি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে এই মহড়া চালানো হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহ্যাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের মহড়ার মাধ্যমে তারা দেখাতে চাইছে, উসকানির উৎপত্তিস্থলই শুধু নয়, শত্রুর নেতৃত্ব ও তাদের সমর্থক বাহিনী যদি তাদের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তাদের ধ্বংস করা হবে।

উত্তর কোরিয়ার রোববার তাদের ষষ্ঠ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, এটি ছিল হাইড্রোজেন বোমা। এ দাবির পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ভাষা ও পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই শত্রুতাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক। তিনি আরো বলেন, শান্তিতে থাকার চিন্তা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করবে না।

তবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, এখন তা-ই দেখার বিষয়।

(ওএস/এএস/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭)