হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের কালাপাগলা গ্রামের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের তিন সহোদরকে এসিড মারার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের রঘূনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মেম্বারের পুত্র সোহেল (৩০) ও জুগলী ইউনিয়নের কালাপাগলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র আল-আমিন (১৯) ও এসিড বিক্রেতা উজ্জ্বল বণিক। ঘটনাটি ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক প্রায় ৯ টার দিকে আহতদের নিজ বাড়িতে ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, কালাপাগলা গ্রামের আবুল কালামের দুই কন্যা মরিয়ম আক্তার (২২), মহিরন (১৪) ও অনার্স পড়ুয়া পুত্র রাসেল (২০) ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক প্রায় ৯ টার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে বিছানায় বসে মোবাইলে গান শুনতে ছিল। এমন সময় মরিয়মের সাবেক স্বামী হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের রঘূনাথপুর গ্রামের আব্দুল হাই মেম্বারের পুত্র সোহেল ও কালাপাগলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র আল-আমিন কৌশলে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসলিমা খাতুন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান ও মরিয়মের পরিবার জানায়, সোহেল এর পূর্বে আরো একটি বিয়ে করে ছিল, প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মরিয়মকে প্রায় দুইবছর পুর্বে বিয়ে করে। তার বেপরোয়া জীবন যাপন কখনো পছন্দ করতনা মরিয়ম। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে তাদের মাঝে বনিবনা না হওয়াই একপর্যায়ে মেয়েটি বাধ্য হয়ে প্রায় আট মাস পুর্বে সোহেলকে একতরফা ডিভোর্স দিয়ে গার্মেন্টস্ কোম্পানীতে চাকরি নেয়। মরিয়মকে তার সংসারে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে মেরে ফেলার উদ্যেশে পিছু নেয় বখাটে সোহেল। যার পরিণতিতে ঘটায় এমন জঘন্যতম অপরাধ।

এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসিডে দগ্ধ তিনজনের অবস্থাই গুরুতর। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল ও আল-আমিন ও এসিড বিক্রেতা উজ¦ল বণিক কে আটক করেছেন। আটককৃতদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছেন,মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান।

(জেসিজি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭)