মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়েছিলেন বলে আমি প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছি। দেশের ৬৪ টি জেলায় উকিলবার স্থাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর আমিও সিলেট বারের আইনজীবি ছিলাম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আরোও লেখাপড়া করতে হবে। প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশ থেকে কয়েক হাজার মেধাবী ছেলে-মেয়ে বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে। পরবর্তিতে সেখানে তারা মেধার স্বাক্ষর রেখে চাকুরি ও নাগরিকত্ব গ্রহণ করে আর দেশে ফিরছে না। এ মেধা পাচার নিয়ে এখনি আমাদের ভাবতে হবে এবং এটা বন্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং বার ভবন এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এ কথাগুলো বলেন।

জেলা আইনজীবীর সভার সভাপতি এডভোকেট রনজিৎ কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা দায়রা জজ মোঃ আবু তাহের, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট এজি এম আল মাসুদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট সমর কান্তি দাশ চৌধুরী, এডভোকেট মিজানুর রহমান প্রমুখ। এর আগে তিনি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির ১ম বার ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে আলোচনা সভায় যোগ দেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মামুনুর রশিদ।

আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, সাইবার ক্রাইম করে বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভ থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আমি প্রধান বিচারপতি আমারও সাইবার ক্রাইম বিষয়ে শিক্ষা নেই। আমাদের আইনজীবীদের সাইবার ক্রাইম ল বিষয়ে লেখাপড়া নেই। তাই সাইবার ক্রাইম ল বিষয়ে আমাদের পড়তে হবে। ধনী ব্যক্তিরা এলাকায় মাদ্রাসা এবং মক্তব প্রতিষ্ঠা করতেন। পৃথিবীর উন্নত দেশে ধনী ব্যক্তিরা অক্সফোর্ড-ক্রেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের ধনী ব্যক্তিদেরও বেশি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশকে কেউ আর বটমলেছ বাসকেট বলে না। এই দেশ অনেক উন্নতি হয়েছে।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭)