হৃত্রান তোমার জন্য

হৃত্ৰান,
আজকাল সবাই বড্ড তোমার কথা জানতে চায়...
তোমায় খোঁজে আমার মুঠোফোনের গ্যালারিতে,
তোমার বাড়ী দেখতে চায়,
তুমি কি করো জানতে চায়,
আমার এলোমেলো চুলে ঢাকা কপালে ছোটবেলার ভুরুঘেঁষা কাটা দাগের রহস্য জানতে চায়,
আমার বাঁ হাতের তিলের বয়স জানতে চায়...
সবশেষে ঘুরে ফিরে সেই তোমার-আমার সম্পর্কের কথা জানতে চায়,
তোমার নীল পাঞ্জাবি আর হালকা দাড়ির গল্প শুনতে চায়...


কিন্তু,
আমি তো তোমার অপেক্ষাতেই আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে এতগুলো শরৎ বসন্ত পার করলাম,
এতকাল কেবল অপেক্ষাই করেছি তোমার জন্য, আজও করি...
তবে আজকাল তোমার আসার বিশ্বাসে কিছু দমকা হাওয়া লেগেছে,
বয়স বাড়ছে তো তাই অধৈর্য্য হয়ে যাই একটুতেই...
আচ্ছা, সত্যি করে বলতো তুমি আসবে তো হৃত্ৰান??
ভয় হয় মাঝে মাঝে, - প্রবাসী তুমি না চিরকাল পরবাসী চিঠি হয়েই রয়ে যাও আমার...

অথচ,
তোমার ঠিকানা বা পরিচয় কিছুই তো জানি না আমি,
দিয়ে যাওনিতো কিছু আমাকে,
শুধু বলে গেছিলে যেদিন আসবে তোমার সবটুকু আমার করে আসবে...
সেদিন কী যে ছিলো তোমার কথায় হৃত্ৰান!!!
যে কথায়,
কৃষ্ণচূড়ারা আজও অকালবসন্তে রঙিন হওয়ার স্বপ্ন দেখে
যে কথায়,
মনের ঝাপসা বারান্দায় মাঝরাত্তিরে কাব্যমিছিল হয় আজও
যে কথায়,
সব হারানোর দীর্ঘশ্বাসে ফেলে আসা চিঠির ভেতর মেঘহীন আকাশ খোঁজে মন
যে কথায়,
ভালোবাসা বেঁচে আছে অপেক্ষার চিরযাপনে, তবু সম্পর্ক হলো না আজও...


যদি,
আসো কোনোদিনও পথভুলে প্রতিশ্রুতির তাড়নায়
শুধু ১০৮টা নীলপদ্ম এনো সারাজীবনের ক্ষতে প্রলেপ দিতে,
না না নাভিমূলে নয় -
বরং আমার চরণে দিয়ো নীলপদ্মরাজি বহুকালের অপেক্ষার অবসানের কৃতজ্ঞতা স্বীকারে...