নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান ও সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনকে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়েছে। খামের ভেতর চিঠির সঙ্গে প্রতিকী কাফনের কাপড়ও রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে সৈয়দপুর থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

জানা গেছে, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ওই চিঠি পুলিশ সুপারের আসেন। একই চিঠিতেই সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনকে পুলিশ সুপারের সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে হুমকি মুলক চিঠির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি প্রথমত আমি গুরুত্ব না দিলেও কিন্তু পরে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে অচিরেই আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা নেওয়া হবে। অপর দিকে সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্রতা নিশ্চিত করে জানান, আমি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি ,সৈয়দপুর ফিরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অজ্ঞাত ব্যক্তির লেখা ওই চিঠিতে সৈয়দপুর

রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানকে উদ্যেশ্য করে বলা হয় “তোর দিন শেষ, সাবধান, তোর মৃত্যু আমার হাতে, কেউ তোকে রা করতে পারবে না। সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের সহযোগিতায় রেল পুলিশ বাবুল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ঈদ-পরবর্তী সময়ে কালোবাজারে রেলের টিকিট বিক্রি করা হয়। এ থেকে তুমি অনেক লাভবান হয়েছ। চেয়ারম্যানের মৃত্যুও আমার হাতে লেখা। আমি তোকে মারব। তোর বাসভবন থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেনেড মেরে তোর গাড়ি উড়িয়ে দেব।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বেঙ্গল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালভাবে অবগত হয়নি। তবে মানুষজনের মুখে মুখে এমন কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে চিঠি প্রেরণকারী হুমকীদাতাকে খুঁজে বের করে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

অপরদিকে সৈয়দপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ওসি এ,কে,এম লুৎফর রহমান জানান, হুমকীমুলক চিঠির পর সৈয়দপুর রেলস্টেশন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিরাপক্তা জোড়দার করা হয়েছে।


(এমআইএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)