নিউজ ডেস্ক : ছয় বছর আগে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যায় তার বাবার দায়ের করা রিট শুনানির পরবর্তী তারিখ ২৫ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৯ নং আদালতে বিচারপতি রামায়ন ও বিচাপতি অমিতাভ রায়ের যৌথ বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়।

ফেলানীর বাবাকে আইনি সহায়তা দেয়া কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে দালালদের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নং ৯৪৭ এর কাছে কাঁটাতার পাড় হতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারায় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশ ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।

পরে বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২ বছর ৮ মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন বিএসএফ বিশেষ আদালত। সেই রায় যথার্থ মনে করেনি বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন। এরপর ২ জুলাই ২০১৫ বিএসএফ কোর্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে আবারও নির্দোষ বলে পুনরায় রায় দেন। এতে করে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে দুই বার বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করে দুই বারই খালাস দেয়া হয়।

পরে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সহায়তায় ফেলানী হত্যার বিচার ও ক্ষতিপুরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবেদনটি গ্রহণ করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সংস্থাকে কারণে দর্শানোর নির্দেশ দেন। রিট মামলার নম্বর-২৪১/২০১৫।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)