বাকৃবি প্রতিনিধি : নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) হেলথ কেয়ার সেন্টার। সীমাবদ্ধতার কারণে কেন্দ্রটিতে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা। বহির্বিভাগীয় চিকিৎসা কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন গড়ে তিনশ জন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য কেন্দ্রটিতে রয়েছে মাত্র ১০ জন চিকিৎসক। এছাড়া ৪৫ শতাংশ ছাত্রীদের ক্যাম্পাসটিতে নেই কোনো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্পূর্ণ আবাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল অবকাঠামোর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী এবং সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এখানে রয়েছে মাত্র ১০ জন চিকিৎসক। ডেন্টাল ইউনিট ও চোখ পরীক্ষার জন্য বহু বছর ধরে সাময়িক ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চললেও বেতন কাঠামো কম হওয়ায় ডাক্তারশূণ্য রয়েছে ইউনিট দুটি।

এছাড়া কৃষি শিক্ষার দেশসেরা এই বিদ্যাপিঠে প্রায় ৪৫ শতাংশ ছাত্রী। কিন্তু ছাত্রীদের রোগের জন্য নেই কোনো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানায়, মেয়ে হয়ে আমরা কিভাবে একজন ছেলে চিকিৎসকের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা বলব। তাছাড়া হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকদের আচরণ তেমন ভাল না। তাই আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত সেবা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় সকল রোগেই একই ওষুধ দেয়া হয়। ওষুধের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রায়ই বাইরে থেকে কিনে খেতে হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটি শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তৈরি হলেও সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনও ২৪ ঘণ্টা সেবা নিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়েজ আহমেদ বলেন, হেলথ্ কেয়ারের বাৎসরিক বাজেট কম। পার্ট টাইম ডেন্টাল ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে, পার্ট টাইম স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রাখা যায়।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭)