স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনকে (রাহমান নাসির উদ্দিন) বিএসএস সম্মান ও এমএসএস পরীক্ষা কমিটি-২০১৫ থেকে অপসারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ূয়া।

আইনজীবী জানান, ওই বিভাগের ২০১৫ সালের এমএসএস পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলা উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক মোক্তার আহমেদ চৌধুরী। এই কমিটর এমএসএস টার্মিনাল পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণের পর ২৫ নম্বর ধরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে চান। এ বিষয়ে মতামত চেয়ে গত ২০ এপ্রিল নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন আলাউদ্দিন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে মতামত চান। এরমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশের পর ফের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে মতামত (বিস্তারিত) চান। কিন্তু এ চিঠির কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

এদিকে সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এ এফ এম ইমাম আলী পরীক্ষা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিনকে একটি চিঠি দেন; যাতে ৩১ মে’র মধ্যে এ টার্মিনাল পরীক্ষার নম্বর ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তার মতামত জানতে চান। নাসির উদ্দিন লিখিতভাবে ওই সময়ের মধ্যে মতামত দেন।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও জানান, এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিনকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, নিয়মবর্হিভূত কার্যকলাপের অভিযোগে ১০ জুন অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তাকে সতর্ক করা হয় এবং পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণ করা হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিভাগীয় চেয়ারপারসন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তার আলোকে এএফএম ইমাম আলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাসির উদ্দিন হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ১০ জুনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়াই কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া অপসারণ আইনবহির্ভূত। এ ছাড়া দোষী হলে পুরো কমিটি হবে। একা নাসির উদ্দিন শাস্তি পাবেন কেন? তিনি বলেন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় সব বিভাগেই টার্মিনাল পরীক্ষায় ৫০ থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে নিয়ে ২৫ নম্বরে রুপান্তরিত করা হয়।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭)