ইমরান হোসেন, বরগুনা : বরগুনায় হঠাৎ করেই মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে বরফের দাম। আর এ দাম বৃদ্ধির কারনে চড়ম লোকসানের মুখে পড়েছেন পাইকার ও আড়ৎদাররা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করায় স্বাভাবিকের থেকে বরফের দাম বেড়েছে ৪ গুন। তবে বরফ মিল মালিকরা দায়ভার দিচ্ছেন বিদ্যুতের। অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের কারনে বরফ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলছে বরফ কল মালিকরা। এদিকে সরকারি বরফ মিল বন্ধ থাকায় বেসরকারি বরফকল মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করার সুযুগ পেয়েছে দাবি পাইকার ও আরৎদারদের।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছের পাইকারী বাজার বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরন কেন্দ্র। যেখান থেকে প্রতিদিন শত শত মন বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করেন কয়েক হাজার পাইকার। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পাইকারী এ বাজারে বরফের দাম বেড়েছে ৪ গুন বেশি। কয়েকদিন আগেও এক ক্যান বরফের দাম ছিল ১০০ টাকা কিন্তু এ সপ্তাহে এক ক্যান বরফ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

পাথরঘাটা বিএফডিসির একাধীক জেলেরা বলেন, হঠাৎ করেই সব কটি বরফমিলে একসাথে দাম বৃদ্ধি করেছে। ১০০ টাকার বরফ ৫০০ টাকা। তার সাথে খারাপ ব্যবহার। নিলে নেও না নিলে ভাগো। এমন অবস্থায় মাত্রাতিরিক্ত দামে বরফ কিনে সাগরে যাচ্ছেন তারা। তাই মাছের দাম বৃদ্ধি করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে হয়।

এদিকে পাইকাররা জানান, জেলেদের নিকট থেকে কেজি হাফ ইলিশের মন ক্রয় করতো তারা ১৫ হাজার টাকা আর বর্তমানে তার মূল্য ২৫ হাজার টাকা। কেজি গ্রেডের মন ছিল আগে ৩০ হাজার টাকা বর্তমানে তা ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। বরফের দাম কম থাকলে এমনটা হতো না বলে দাবি পাইকারদের।

তবে আরৎদাররা জানান, সরকারি বরফ কল বন্ধ থাকায় বেসরকারি বরফ কল মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বরফের দাম অতিরিক্ত হারে বারিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে ইলিশের ওপর। তাই পর্যাপ্ত ইলিশ থাকা সত্বেও দাম বৃদ্ধি।

এদিকে বরফের দাম বৃদ্ধি শিকার করে বরফ মিল মালিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারনে বরফের উৎপাদন কম, তাই দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই বরফের দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান বরফ কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান। তবে বরফের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শিকার করে তিনি নিয়ন্ত্রনে আনার কথাও জানান।

তবে কি কারনে বিএফডিসির বরফ কল বন্ধ রয়েছে এ ব্যাপারে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিএফডিসির কর্মকর্তা লেঃ এম নুরুল আমিনকে অফিসে পাওয়া যায় নি।

পাথরঘাটা ট্রলার মালিক সমিতির দেয়া তথ্য মতে পাথরঘাটা বিএফডিসির বরফ কলটি প্রায় ৭ বছর ধরে বন্ধ রেখেছে কতৃপক্ষ।

(আইএইচ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭)