মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকার পূর্ববনগ্রাম গ্রামে শারিরিক প্রতিবন্ধি ইউনুস তালুকদার নামের এক ভিক্ষুকের ভাইকে বিদেশ নেয়ার নাম করে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র।

আর ৫ বছর তাদের পিছনে ঘুরে টাকা ফেরৎ না পেয়ে ন্যায় বিচারের আশায় গ্রাম্য শালিস মিমাংসায়ও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেছে অসহায় পরিবারটি। কিন্তু কোর্টে একের পর এক তারিখের মাধ্যমে কালক্ষেপণ হওয়ায় আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে মামলা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে ভূক্তভোগী পরিবার।

অপরদিকে আসামী পক্ষরা এলাকায় ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় তাদের এখন গ্রাম ছেড়ে পালানোর উপক্রম হয়েছে।
ভূক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসী জানায়, শারিরিক প্রতিবন্ধি ইউনুছ তালুকদারের ২টি পা না থাকায় ঢাকায় বসে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবীকা নির্বাহ করত। কিন্তু ২০০৯ সালে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকার ইল্লা গ্রামের পরেশ দত্তের ছেলে কনক দত্ত, বাবু দত্ত ও খালেক আকনের ছেলে আসাদুজ্জামান ইউনুছের ছোট ভাই সাজু তালুকদারকে দুবাই নেয়ার প্রলোভন দেখায়। সংসারের অভাব ঘুঁচিয়ে সুখের আশায় ভিক্ষাবৃত্তির জমানো টাকা এবং গাছ ও গোয়ালের গরু বিক্রি করে ২ লাখ টাকা দেয়া হয় তাদের। শুরু হয় অপেক্ষা ও তালবাহানার পালা। অবশেষে দুবাই যাওয়ার আশা বাদ দিয়ে টাকা ফেরৎ পেতে গ্রাম্য শালিসের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানে আদম ব্যবসায়ীরা টাকা ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা আর ফেরৎ দেয়নি। ফলে ভূক্তভোগী পরিবার কোর্টে মামলা দায়ের করে।
সরেজমিনে গেলে, গৃহবধু রাশিদা বেগম, সোনিয়া বেগম, চাম্পা বেগম, আসরাফ, জয়নাল, মজিদ বেপারী, নাসির চৌকিদারসহ ২০/২৫ জন গ্রামবাসী আক্ষেপ করে বলেন, অত্র অঞ্চলে ন্যাংরা ইউনুছের পরিবারের মত এত দরিদ্র পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ তার টাকা আদম ব্যবসায়ীরা নিয়ে এখন তালবাহানা করছে। আদালতে বিচার না পেলে আল্লাহপাক হয়ত দোষীদের শাস্তি দেবে আমরা এই কামনাই করছি।’
এব্যাপারে আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
(এএসএ/এএস/জুন ২৯, ২০১৪)