আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে যেন রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাবার এবং মশারিসহ বিভিন্ন জিনিস ত্রাণ হিসেবে পাঠাচ্ছে তারা।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কিছু বিমানে করে এসব ত্রাণ পাঠানো হবে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, চিনি, লবন, তেল, চা, নুডুলস এবং বিস্কুটসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস থাকবে।

মাত্র একদিন আগেই রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৪ টন ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশও রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে এবং বিতরণ করছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে রোহিঙ্গা শিশুদের সহায়তায় ৭৩ লাখ ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গা শিশুরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

গত ২৫ আগস্ট বেশ কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। তারপরই দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতা শুরু হয় রাখাইনে।

রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন, নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা এবং গুলি করে রোহিঙ্গাদের হত্যাসহ ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু করে সেনাবাহিনী।

এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই বলছেন, মিয়ানমার সেনারা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

নির্বিচারে নারী, পুরুষ, শিশুদের গুলি করে হত্যা করেছে সেনারা। তারা নিরীহ লোকজনের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে তাদের হুশিয়ারি দিয়েছে হয় পালিয়ে যেতে নইলে সেখানেই মরতে। আবার অনেকেই অভিযোগ করেছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭)