মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা তিন রেহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নেয়ার সময় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটক তিন পরিবারে ২০ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন শিশু ৬ জন নারী এবং তিনজন পুরুষ। পালিয়ে আসার সময় হাসিনা (৩৫) নামে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তার হাতে ব্যান্ডেজ রয়েছে।

বুধবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়। রাতে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসা শেষে সিংগাইর উপজেলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের তিন তলার একটি কক্ষে তাদের রাখা হলেও গণমাধ্যম কর্মীদের ভেতরে ঢুকতে ও ছবি তুলতে দেয়া হচ্ছে না।

তবে রেহিঙ্গা পরিবারগুলোকে দেখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিড় করেন স্থানীয়রা। অনেককেই খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।

আটক রোহিঙ্গারা জানান, তারা সবাই মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু জেলার মন্ডুকাদেরবিল গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর প্রাণভয়ে পালিয়ে আসেন তারা। দৌড়ানোর সময় ওই নারীকে সোনাবাহিনী গুলি করে। গুলিটি একদিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় ওই নারীকে।

তারা জানান, সমুদ্র পথে পার হয়ে টেকনাফ সিমান্তে আসেন। সেখান থেকে সড়ক পথে ঢাকায় এবং পরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পৌঁছেন। পরিচিত এক প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলেই সিংগাইর উপজেলায় আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, সিংগাইরের চারিগ্রাম ও ধল্লা এলাকায় রহিঙ্গা পরিবার এসেছে খরব পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। আটক রহিঙ্গাদের বর্তমানে সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার তাদের কক্সবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭)