হালুয়াঘাট ( ময়মনসিংহ ) প্রতিনিধি : বাবার কাঁধে মিললো দুই সন্তানের লাশ। ১০ মাসের শিশু শাকিল ও ৭ বৎসরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হুমায়ূন। অপর আরেক শিশু রুবিনা তিনিও হাসপাতালে।

১৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিহত দুই শিশু শাকিল ও হুমায়ূনকে ময়না তদন্ত শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করেছে নিহতের পরিবার।

শিশু সন্তান দুটি হালুয়াঘাট উপজেলার স্বদেশী ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের।
গত ১২ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের সালনা এলাকার পাকিস্তানী গার্মেনসের পূর্ব পাশে রহিম মিয়ার বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রফিকুল স’পরিবারে সেই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

নিহতের মামা সাজাহান ও পিতা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে নিহতদ্বয়ের মাতা মোছাঃ কোহিনুর বেগম গার্মেন্টস এর কাজে চলে যান। বাসায় রেখে যান তিন সন্তান শাকিল, ও মেয়ে রুবিনাকে। হুমায়ূন পড়তে যান কাছেই এক মাদ্রাসায়। কোহিনুরের স্বামী রফিকুল সবার ছোট শিশুটিকে নিয়ে পাশের দোকানে চা খেতে যান। একপর্যায়ে ১০ মাসের শিশু শাকিল আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে সকাল বেলায় বাসা থেকে মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়া অপর আরেক শিশু হুমায়ূন মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরে আসলে সেও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। অতঃপর হুমায়ূনকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সেও মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।

আর একমাত্র মেয়ে রুবিনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে বলে জানা যায়। তবে নিহতের এ ঘটনার প্রকৃত কোন কারণ এখনো জানা যায়নি।

কেউ কেউ বলছেন ঐ দিন সকালে পাংগাস মাছের তরকারী ভক্ষন করেছিলেন নিহতদের পিতা রফিকুল, তার স্ত্রী কোহিনুর আর দুই সন্তান হুমায়োন আর কন্যা রুবিনা। খাবার থেকে কোন বিষ ক্রিয়া হয়েছে কিনা এমনটাও অনেকেই সন্দেহ করছেন।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ঘটনাটি গাজীপুর এলাকার। কি কারনে শিশুদ্বয় মারা গিয়াছে তা এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্তের ফলাফল পেলেই প্রকৃত কারন জানা যাবে।

(জেসিজি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭)