শেরপুর প্রতিনিধি : টাকায় কিনা হয়! গজারি গাছও আকাশমনি হয়ে যায়। অবৈধভাবে পাহাড় থেকে গজারি গাছ কেটে নেওয়ার পর ওই গাছ স্থানীয় বন কর্মকর্তা আকাশমনি গাছ বলে চালিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারোপাহাড় এলাকার ঝিনাইগাতী উপজেলায়। অথচ সংরক্ষিত বন থেকে শাল-গজারী গাছ কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানান, শনিবার বিকেলে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি’র একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য অবৈধভাবে পাহাড় থেকে ৬ টি গজারি গাছ কাটা হয়। পাহাড় থেকে কেটে আনা এসব গজারী গাছ ট্রলিতে করে ঝিনাইগাতী থানার সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন ‘ওয়াচম্যানের’ নজরে আসে। এসময় তিনি রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জারকে বিষয়টি অবগত করেন। এর দশ মিনিট পর ব্রীজ নির্মানের স্থানে ওই রেঞ্জার বিজিবি সদস্যদের নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু তার পরই দশ্যপট পাল্টে যায়। রেঞ্জার গোয়েন্দা সংস্থার ওয়াচম্যানকে ফেনে জানিয়ে দেন যে, গাছগুলো গজারি ছিল না, ছিল আকাশমনি গাছ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের ইন্ধনে পাহাড় থেকে গজারী গাছগুলো কাটা হয়। কেবল তাই নয়, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গজারী গাছ কাটার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ ওই গজারী গাছগুলো রবিবারও নির্মানাধিন কাঠের ব্রীজের কাছের একটি বাড়িতে ফেলে রাখা অবস্থায় দেখা গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার মো. জামিল হোসেন খান জানান, গজারি গাছকে আকাশমনি বলিনি। গজারি গাছ পাচারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ৬টি গজারি গাছের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তিতে ওই এলাকার রাস্তা থেকে একটি ট্রলি ভর্তি কিছু আকাশমনি গাছ জব্দ করা হয়েছে। তিনি কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন কিংবা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঝিনাইগাতী ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ব্রীজের জন্য গজারী গাছ কাটায় ইন্ধন দেওয়র অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এ ধরনের কোন কর্মকান্ডের সাথে আমার কোনপ্রকার সম্প্রক্ততা নেই। বরং সব সময় এসব ব্যাপারে আমি বন বভিাগ, পুলিশ এবং বিজিবি’কে সহায়তা করে থাকি।
(এইচবি/এএস/জুন ২৯ ২০১৪)