ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : উপজেলায় চলতি বছর আখের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ হেক্টর বেশি জমিতে আখের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ১শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত আখের ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে । সাধারণত আখের রোগ-বালাই কম হওয়াতে পরিশ্রমও তেমন হয় না। এখন দাম ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষকরাই আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ভোলায় কালী বোম্বাই, বোম্বাই, ২০৮, বাসপাতা জাতের আখের চাষ বেশি হয়। প্রায় বছরকালীন মেয়াদের ফসল আখ গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে ক্ষেতে রোপণ করেছেন কৃষকরা। সেপ্টেম্বর থেকে অনেক স্থানে আগাম কর্তন শুরু হলেও অক্টোবর পর্যন্ত ফসল তুলবে চাষিরা। তবে বর্তমানে বাজার দর বেশি পাওয়ায় প্রথম দিকের আখ রোপণকারীরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানায়।

সদর উপজেলার আখ চাষি আবুল হোসেন ও সোহেল মিয়া বলেন, আখে সাধারণত লাল পচা নামক রোগ হয়। তবে এবছর রোগের উপদ্রব তেমন ছিলো না। তাই তাদের ফলন ভালো হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই তাদের ফসল কর্তন শুরু হবে। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।

কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হোসেন জানান, প্রতিবছরই উজেলায় আখ চষের জমির পরিমাণ বাড়ছে।তিনি আরো বলেন, উপজেলায় সাধারণত ব্যাপক আকারে আখ চাষ হয়না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চাষ কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ বছরে প্রায় ২৫ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়েছে আখ চাষের।

চাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারদর্শী করা হচ্ছে। এছাড়া চারা রোপণ, রোগ-বালাই দমন, সার প্রয়োগসহ নানান পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। সাধারণত ব্যাপরীরা কৃষকদের ক্ষেত থেকেই আখ কিনে নিয়ে আসে। বর্তমানে একটি ভালো মানের আখ ৫০ টাকার ওপরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

(এসআইআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭)