স্টাফ রিপোর্টার : আশুলিয়ায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এক নারী পোশাক শ্রমিককে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তাহের মৃধা।

রবিবার রাতে এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে আশুলিয়ার থানায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ধর্ষিতা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ও আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার সরকার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই নারী পোশাক শ্রমিক আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তাহের মৃধার ভাড়া বাড়িতে থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ইউপি সদস্যের বাড়িতে ভাড়া থাকার কারণে একাধিকবার তাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছে তাহের মৃধা।

কয়েক মাস যাবৎ তিনি ওই ইউপি সদস্যের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে পাশের সরকার বাড়িতে কক্ষ ভাড়া নেন। এরপরে রবিবার রাতে কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় ইউপি সদস্যের লোকজন তার মুখ বেধে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে পাশের কান্দাইল এলাকার ইউপি সদস্যের পুরাতন বাড়ির পরিত্যাক্ত একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এর পরপরই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নারী শ্রমিকের ওপর পাশবিক নির্যাতন শুরু করে।

ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান তাহের মৃধা। এমনকি কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে উল্টো তাদেরকে এলাকা ছাড়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর রোববার রাতেই ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করি। এ ঘটনায় নারী শ্রমিক নিজে আশুলিয়ার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, রিকসা থেকে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে পোশাক শ্রমিকে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

(পিজিটি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭)