ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :  সোমবার থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু । অথচ চুলায় ভাজা মুড়ির ক্রেতা নেই। এতে মুড়ি ভাজার কাজে জড়িত ৫ শতাধিক নারী এখন বেকার হয়ে পড়েছেন । এই নারীরা আসন্ন ঈদে পরিবারের সদস্যদের বায়না কি করে রক্ষা করবেন এই চিন্তায় রয়েছেন?

জানা যায়, উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের পারুলিতলা, ধরগ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলিতে বংশ পরম্পরায় ৫ শতাধিক গৃহিণী মুড়ি ভাজার কাজে জড়িত ছিলেন । মুড়ি ভেজে তাদের সংসারে আসতো বাড়তি আয়। প্রতিবছর ঈদের বাজার সদাই হতো মুড়ি ভাজার আয় দিয়ে।

ক্রমান্বয়ে মুড়ির কারখানা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা কমে যায় হাতে ভাজা মুড়ি। তাছাড়া মুড়ি ভাজার উপাদান চাল, লাকড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে ক্রমান্বয়ে সংশ্লিষ্ট নারীরা বেকার হয়ে পড়ছেন। মুড়ি ভাজার কাজে জড়িত শেফালী, মরিয়ম, ফাতেমা জানান কয়েক বছর আগেও চুলায় ভাজা মুড়ির চাহিদা ছিলো। এখন তেমন একটা নেই।

মেশিনে ভাজা মুড়ি বাজারে প্রতিকেজি ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তাদের চুলায় ভাজা মুড়ি এই দামে বিক্রি করলে লাভ হয় না।

সরকারী বেসরকারী সহযোগীতা পেলে হাতে ভাজা মুড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভভ বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লেবু।