টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা না করে নিয়মবর্হিভূতভাবে অযোগ্য নৈতিক স্থলজনিত কারণে ফৌজদারী মোকদ্দমার আসামীকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রত্যাশী মোঃ ওবায়দুর রহমান।

লায়ন নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ওবায়দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, নাগরপুর মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা অত্র কলেজ কার্যালয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় আমি (মোঃ ওবায়দুর রহমান) ১০জনের মধ্যে প্রথম হই। এবং অধ্যক্ষ হওয়ার সকল প্রকার ডিগ্রি ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ কমিটি তাকে নিয়োগ না দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ফৌজদারী মোকদ্দমার আসামী মোঃ আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য, একাডেমিক শিক্ষায় অনুপযুক্ত ঐ ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয় নিয়োগ কমিটি। তিনি আরো বলেন, গত ১১ এপ্রিল অত্র মহিলা কলেজের লাইব্রেরীয়ান নিয়োগের সময় কামরুন নাহার লাইলীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা টিটির মাধ্যমে নেন এটিএম আনিছুর রহমান বুলবুল।

নাগরপুর মহিলা কলেজের অধ্যাক্ষ নিয়োগ দাতা এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট মুলতান উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য এটিএম আনিসুজ্জামান বুলবুলসহ কতিপয় সদস্য ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। অধ্যক্ষ পদে যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনায় না নিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এই চক্রটি আনিসুর রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে।

একাডেমিক শিক্ষায় অনুপযুক্ত এবং একই কলেজের ছাত্রীকে নির্যাতনের মামলার আসামীকে কলেজের অধ্যক্ষ করায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমতবস্থায় নাগরপুর মহিলা কলেজটি এই প্রতারক চক্রের হাত থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আনন্দ মহন দে, লায়ন নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবু দাউদ।

(এমএনইউ/এএস/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭)