জামালপুর প্রতিনিধি : যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ১১টায় জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দি সারকারখানা এলাকায় আওয়ামী লীগের বেলাল গ্রুপ ও রাজা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে বেলাল গ্রুপের দুই কর্মী। এর প্রতিবাদে বেলাল গ্রুপের কর্মীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রেখেছে তারাকান্দি-ভুঁঞাপুর সড়ক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সড়কপথে এখন বন্ধ হয়ে গেছে সার পরিবহন ব্যবস্থা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আওনা ইউপি মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা রাজাকে গ্রেফতার করেছে সরিষাবাড়ি থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় প্রভাব নিয়ে সরিষাবড়ি উপজেলার আওনা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেনের সাথে একই ইউপির মেম্বার রাজার বিরোধ চলছিল।

এ নিয়ে বুধবার সকাল ১১টায় যমুনা সার কারখানার পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে যাবার সময় বেলাল সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী মারুফ (৩৮) ও লালচাঁন (৩৬)র উপর অতর্কিত হামলা চালায় রাজার সমর্থকরা। মারুফ ও লালচাঁনকে রামদা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় আহতদের প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার খবর পেয়ে বেলাল সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে রাজা সমর্থকদের। দু গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যমুনা সার কারখানা এলাকা। বিক্ষুব্ধ বেলাল গ্রুপের কর্মীরা তারাকান্দি-ভুঁঞাপুর সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। সড়ক অবরোধ থাকায় এ রুটে এখন বন্ধ রয়েছে সার পরিবহন।

এ ঘটনায় ইউপি মেম্বার রাজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দু গ্রুপের সশস্ত্র মহড়ায় সার কারখানা ও জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম খান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(আরআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭)