চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবারো মেঘনার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আকস্মিকভাবে শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা পয়েন্টের প্রায় ৩৫ মিটার এলাকার সিসি ব্লক ঢেবে গেছে। সেখানে এখন নদীর গভীরতা ১৫ থেকে ২০ মিটার হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তারা। নতুন করে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় বাঁধের পাড়ে থাকা অবনী বণিক বাড়ির ১৫টি পরিবার অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জায়গা খুঁজছে অসহায় পরিবারগুলো। হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, রাস্তা, মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থান, মসজিদ মাদ্রাসাসহ পশ্চিমশ্রীরামদী ও মধ্যশ্ররামদী আবাসিক এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা দ্বীপক দে (৪৫) ও শিপ্রা (৫৫) জানায়, সকাল দশটার দিকে গোসল করতে গিয়ে তারা দেখেন বাঁধের ব্লকগুলো হঠাৎ করে ডেবে যাচ্ছে আর পানি উপরের দিকে ফুলে ওঠছে। সাথে সাথে আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা ঘটনাটি হরিসভা মন্দির সভাপতিকে অবহিত করেন। গেল শুষ্ক মওসুমে বাঁধের ভাঙ্গনের এ জায়গার ৯০ মিটার বাঁধ নতুন করে নির্মাণ এবং ডাম্পিং কাজ করানো হয়। ছয় মাস না যেতেই সেই স্থানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন চাঁদপুর নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আব্দুল হাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর চেম্বার আব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জানান, ভাঙ্গন পরিস্থিতির পুরো বিষয়টি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। ভাঙ্গনরোধে সরকারিভাবে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পৌরসভার ব্যাপক বজ্য হরিসভা ঠোটা দিয়ে ফেলার কারনে শহর রক্ষা বাঁধের এ জায়গা আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রবল স্রোত আর ঘূর্ণাবর্তের দরুণ হঠাৎ করে কিছু ব্লক সরে গেছে। আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভাঙ্গন জায়গায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হবে।

(ইউএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭)