স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চাল মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ মজুতের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ মজুতদারদের ভোক্তা অধিকার আইন, অবৈধ মজুত সংক্রান্ত আইনসহ সব আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বন্যায় হাওরে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে চালের সংকট দেখা দেয়। কিন্তু ওই সংকট মেটাতে যে চাল আমদানি হচ্ছে তা তুলনামূলক অনেক বেশি। ফলে ইতোমধ্যে চালের দাম কমতে শুরু করেছে কিছুদিনের মধ্যে আরও কমবে।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। গত ১০ দিনে হঠাৎ চালের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের তথ্য অনুযায়ী, সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬-১০ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে চাল মজুতের কারণে এই দর বেড়েছে। চাল মালিকরা আড়তে চাল রেখে বাজারে সংকট সৃষ্টি করেছে।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, চালের দাম ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে। নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের প্রথমে নতুন ফসল উঠবে। কাজেই চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। চালের কোনও সংকট নাই। বন্যা ও হাওরের পানি বেড়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি চাল আমদানি করা হচ্ছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭)