মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া-পুখরিয়া গ্রামে পুখরেশ্বরী মন্দিরে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে নবদুর্গা পূজা । দুর্গা পূজাকে উপলক্ষ করে গত তিন বছর ধরে তারা ৯ দিনের আনুষ্ঠানিকতা সমৃদ্ধ ব্যতিক্রমি এ পূজা করে আসছে। সারা দেশে ৬ষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গা পূজা শুরু হওয়ার প্রচলন থাকলেও এই মন্দিরে মহালয়ার পর দিন থেকেই শুরু হয় দুর্গা পূজার উৎসব।

শৈল পুত্রী, ব্রহ্মচারিনী, চন্দ্র ঘন্টা, কুষ্মান্ডা, ষ্কন্দ মাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহা গৌরী, সিদ্ধিদাত্রি দেবী দূর্গার এই ৯টি রূপের আবির্ভাবকে লক্ষ্য করেই পুখরিয়া গ্রামের আনন্দ গোপাল দে তার পবিারের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় স্থাপিত পুখরেশ্বরী মন্দিরে নয় দিন ব্যাপি এ পূজার আয়োজন করা হয়। ৯টি রূপে দেবী দুর্গার আবির্ভাবকে সামনে রেখে তারা এ পূজার নাম দিয়েছে নবদুর্গা পূজা।

এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দির প্রাঙ্গনে আয়োজিত নবদুর্গা পুজার মূল উদ্যোক্তা আনন্দ গোপাল দে এ পূজার ৯ দিনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে তার ব্যাখ্যা দেন।

তিনি দাবি করেন, আমাদের দেশে ৬ষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গা পূজা শুরু হয়। কিন্তু চন্ডি মতে দুর্গা দেবীকে মহালয়ার মাধ্যমে আহবানের পরদিন থেকেই এ পূজা শুরু হওয়া উচিত। যেহেতু চন্ডি শাস্ত্রে দেবী দুর্গা ৯টি রুপে আর্বিভুত হওয়া কথা রয়েছে। সে কারনে দুর্গা পূজা নয়দিন ধরেই হওয়া উচিত। যা মহালয়ের পর দিন থেকে শুরু হয়ে নবমির পর দিন দশমী বিসর্জনের ম্যাধ্যমে শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাজরাতলা শংকর বেদান্ত মঠের পুরোহিত স্বামী বিবেকানন্দ স্বরসতী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার দে, প্রনব কুমার দে, প্রবীর কুমার দে, প্রশান্ত কুমার ও পল্লব কুমার দে প্রমুখ।

(ডিসি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭)