স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিলের মাটিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে টিকোসরা। একই সঙ্গে নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে দেশটির ফুটবল ইতিহাসে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোনো আসরে শেষ ৮ দলের তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে কোস্টারিকানরা। রবিবার রাতে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় গ্রিকদের টাইব্রেকারে ১(৫)-১(৩)গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কেটেছে তারা।

অ্যারিনা পারনাম্বুকোর মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল কোস্টারিকা ও গ্রিস। গ্রুপ পর্বে ইতালি ও উরুগুয়েকে হারানোর পাশাপাশি ইংল্যান্ডের সঙ্গে ড্র-‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মাঠে নেমেছিল কোস্টারিকানরা। গ্রিস ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ‘সি’ গ্রুপের রানার আপ হিসেবে।প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে একে অন্যকে নক আউট করার মিশনে নেমেছিল এই দুই দেশ। তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে গ্রিস ও কোস্টারিকা। বিরতির পর পরই (৫২ মিনিটে) ব্রায়ান লুই আচমকা শটে গোল করে বসলে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছে কোস্টারিকা।শরীরের সব ঘাম ঝরিয়েও গোল শোধ করতে পারছিল না গ্রিস। তবে ৬৬ মিনিটে ডুয়ার্তে লাল কার্ড (ম্যাচে দুইবার হলুদ কার্ড পেয়েছেন) পেলে ১০ জনের দলে নেমে এসেছে কোস্টারিকা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোস্টারিকানদের চেপে ধরেছিল গ্রিকরা। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি টাইমে (৯০+২ মিনিট) গ্রিসকে ১-১ গোলের সমতায় ফিরিয়েছেন সকরাতিস। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়েছে। ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু ম্যাচে আর কোন গোলের দেখা মিলেনি। তাই ম্যাচের ভাগ্য টাইব্রেকারেই নির্ধারিত হয়েছে।

টাইব্রেকারে দুই দলই প্রথম ৩ শটে গোল পেয়েছে। দলের পক্ষে চতুর্থ শট নিয়ে কোস্টারিকাকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল। তবে গ্রিসের জিকাসের শট আটকে দিয়েছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক নাভাস।ফলে পঞ্চম শটে গোল পেলেই কোস্টারিকার কায়ার্টার ফাইনাল তখন নিশ্চিত। এই সুযোগ মিস করেন নি টিকোসদের পক্ষে পঞ্চম শট নিতে আসা উমানা।বলকে জালে জড়িয়েছেন সফলভাবেই। গ্রিসকে হতাশায় ডুবিয়ে কোস্টারিকাও তাই পেয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট। এর আগে ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল মধ্য আমেরিকার দেশটি। রবিবার রাতের পর কোস্টারিকার ফুটবলে যুক্ত হয়েছে নতুন ইতিহাস। যে ইতিহাস আনন্দের, যে ইতিহাস গর্বের।

(ওএস/এইচআর/জুন ৩০, ২০১৪)