বিনোদন ডেস্ক : কঠোর পরিশ্রমী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত পপি। আর এ কারণেই নিজের ঘরে তুলেছেন তিন-তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্র থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েই ঈদ এলে পপি দু’একটি নাটক-টেলিফিল্মে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে গল্প, নির্মাতা এবং কো-আর্টিস্ট এই কয়েকটি বিষয়কে তিনি বেশ প্রাধান্য দেন। এবার এই তিনটি বিষয়ই ব্যাটে-বলে মিলে যাওয়ায় পপি একটি টেলিফিল্মে কাজ করেছেন। বিপ্লব হায়দারের রচনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা নৌকো’ টেলিফিল্মে কাজ করেছেন পপি। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন সুপার হিরো সোহান খান ও নবাগত মনিরাজ।

গত ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকার উত্তরার স্বপ্নীল-১ ও স্বপ্নীল-২ তে এই টেলফিল্মটির শুটিং হয়েছে। বৃষ্টিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটায় শনিবার শুটিং শেষ করতে করতে ভোর ৪টা বেজে যায়। টেলিফিল্মটি নিয়ে পপির সঙ্গে কথা বলতে ওইদিন রাত ২টায় ফোন করেও কথা বলার সুযোগ মেলেনি। পরিচালক বিপ্লব হায়দার বলছিলেন, ‘শুটিংটা শেষ করা জরুরি। তাই আপাতত কোনো রকম অবসর দিচ্ছি না, কথাও বলতে পারছেন না কেউই।’ যথারীতি পরদিন গতকাল রবিবার সকালে জানা গেল, পপি-সোহানসহ পুরো ইউনিটই ভোর ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন কাজ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘প্রায়শই শুনি শিল্পীরা প্রযোজক পরিচালককে ভোগান। কিন্তু এটা আসলে খুব কমই হয়। আমি নিজেই সবসময় চেষ্টা করি পরিচালককে সহযোগিতা করার। যেমন বিপ্লবকে করেছি। এমন আরো অনেকেই আছেন আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যাদেরকে আমি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছি। পরিচালক হিসেবে বিপ্লব একজন মেধাবী পরিচালক। তার কাজের ধরন আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এই ধরনের মেধাবী নির্মাতাদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া উচিত।’ পপির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সোহান খান বলেন, ‘পপি আপু কাজের প্রতি ভীষণ সিনসিয়ার একজন শিল্পী। তিনি যদি প্রফেশনাল একজন শিল্পী না হতেন তাহলে তার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা সম্ভব হয়ে উঠত না। আমাকে খুব সহযোগিতা করেছেন তিনি।’

এ্যাডস্রোত প্রযোজিত এই টেলিফিল্মটি আসছে ঈদে একুশে টিভিতে প্রচার হবে। পপি জানান, আসছে ঈদে আরও একটি নাটক কিংবা টেলিফিল্মে তিনি অভিনয় করতে পারেন। পপি অভিনীত যেসব ছবি এখন মুক্তির অপেক্ষায় আছে সেগুলো হচ্ছে ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ ,‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’, ‘দুই বেয়াইয়ের কীর্তি’, ‘মন খুঁজে বন্ধন’, ‘শর্টকাটে বড়লোক’ ও ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ ।

(ওএস/এইচআর/জুন ৩০, ২০১৪)