E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

পটিয়া বিসিক শিল্প এলাকায় চলাচলে দুর্ভোগ  

২০১৪ জুলাই ০৬ ১৩:৫০:৫০
পটিয়া বিসিক শিল্প এলাকায় চলাচলে দুর্ভোগ  

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র  ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) পটিয়া শিল্প জোল এলাকায় কোন সরকারের আমলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে বিসিক শিল্প এলাকার  অভ্যান্তরের  পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও নিত্যদিনের বৃষ্টির পানি জমে থাকার ফলে হাজার  হাজার শ্রমিক প্রতিদিন চলাচলে ভোগান্তিও  শিকার হচ্ছেন।

তাছাড়া বিসিক শিল্পের পশ্চিমাংশে বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙা থাকার কারণে কয়েক হাজার মহিলা শ্রমিকের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অথচ এখানকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও শিল্প মন্ত্রণালয় কিংবা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ঠরা কোন নজর দেয়নি। প্রায় প্রতিদিন দেশের ও বিদেশের ক্রেতারা গার্মেন্টস শিল্প পরিদর্শন করতে আসছেন। নালা-নর্দ্দমা ও বিসিক শিল্পের বিভিন্ন সাইডের ভাঙা বাউন্ডারী ওয়াল সংস্কার না করায় শিল্পোদ্যোক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিসিক শিল্পের আরেফিন টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার দলীয় সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীকে সম্যার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

কিন্তু তিনি (এমপি) আবেদনের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য উল্টো পাঠিয়ে দিয়েছেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদের কাছে। রাস্তাঘাট, নালা-নর্দ্দাসহ বিসিক শিল্পের মূল উন্নয়নের বিষয়টি পৌর মেয়রের একতিয়ারের বাইরে থাকায় এসব সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না।


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের পটিয়া শ্রীমাই ব্রীজের দক্ষিনাংশে বাংলাদেশ শিল্প ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) পটিয়া জোন গড়ে তোলা হয়। ১০.৫৪ একর জমির ওপর এই বিসিক শিল্প নগরী। তার মধ্যে মোট বরাদ্দযোগ্য ৮.৪৮ একর জমির মধ্যে ৭৭টি পলট তৈরি করা হয়। বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্প ছাড়াও ২০টির অধিক কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এশিয়া পাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি তাদের প্লটটি দীর্ঘদিন ফেলে রাখলেও বর্তমান কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে, পটিয়া ইন্দ্রপোল শিল্পাঞ্চলে বিসিকের (প্রস্তাবিত) আরেকটি নতুন জোন করার দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা থাকলেও প্রকল্পটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে তদবিরের অভাবে পড়ে আছে। আরেফিন ট্যাক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের ফ্যাক্টরী ম্যানেজার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন ও জেনারেল ম্যানেজার যদু রঞ্জন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পটিয়া বিসিক শিল্প নগরী থেকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পেলেও রাস্তাঘাট, নালা-নর্দ্দমা, বাউন্ডারী ওয়াল সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। তিনি অভিযোগ করেন, পটিয়া বিসিক শিল্প নগরীটি প্রথম শ্রেণীর পটিয়া পৌরসভার মধ্যে। এখানকার শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব আদায় করে থাকেন। কিন্তু আলোকসজ্জা, নর্দ্দা পরিস্কার ছাড়া এ পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ কোন উন্নয়ন কাজ করেনি। তাছাড়া নেশায় আসক্ত বহিরাগত বখাটেদের কারণে দিনে ও রাতে গার্মেস্টের নারী শ্রমিকরা ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছেন।


পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, বিসিক শিল্প নগরী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ার কারণে রাস্তা ঘাট নালা-নর্দ্দা ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণসহ উন্নয়নে কাজ পটিয়া পৌর এলাকায় না হওয়ায় একতিয়ারের বাইরে। যার কারণে পৌরসভার অধীনে এসব উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। তবে আলোকসজ্জা ও শিল্প নগরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা হচ্ছে।


এব্যাপারে পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু বলেন, বিসিকের কেউ এখনো উন্নয়নের জন্য পরিষদে আবেদন করেনি তবে আগামীতে বরাদ্দ পাওয়া গেলে বিসিক শিল্প এলাকায় উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।
(এনআই/এএস/জুলাই ০৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test