E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিক্ষুব্ধ জনতার তালা

২০১৮ মার্চ ২১ ২২:২৫:২০
কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিক্ষুব্ধ জনতার তালা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেন গোপনে অবৈধভাবে তার ছেলে এবং নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ নিয়োগ দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা তার কক্ষে তালা ঝুলিয়েছে। 

আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে দৌলতপুর থানা বাজারে অবস্থিত দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

এরআগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেন ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের কক্ষে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ওয়াহিদা সেলিনাকে ডেকে অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে দু’জন মিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং ওয়াহিদা সেলিনা ও তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এ সময় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ওয়াহিদা সেলিনাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ওয়াহিদা সেলিনা দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেন ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে দৌলতপুর থানায় জিডি করেছেন যার নং ৮৫৭।

অপরদিকে একই দিন বিকেলে দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেন তার স্কুলে অবৈধ শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ তালা খুলে প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেনকে উদ্ধার করে।

এসব বিষয়ে দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেন জানান, স্কুলের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ওয়াহিদা সেলিনার সাথে মতবিরোধ হলে তা পরক্ষনে নিরসন হয়। এখন আর কোন সমস্যা নাই। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলানোর বিষয়ে দৌলতপুর থানার এসআই শাহাদত হোসেন জানান, কে বা কারা দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত হোসেনের কক্ষে তালা ঝুলালে আমি গিয়ে সে তালা খুলে দিয়েছি।

স্কুলের ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, দৌলতপুর মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বাকবিতন্ডার খবর শুনে দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

(কেকে/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test