E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন

বিএনপির দুই প্রার্থী, শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ

২০১৮ মার্চ ২৬ ১৬:৪১:৪২
বিএনপির দুই প্রার্থী, শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : আগামী ২৯ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি’র ২ জন প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগের অবস্থান সুদৃঢ়। এ কারণে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। 

নির্বাচনকে ঘিরে পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। প্রার্থীদের পক্ষে চলছে মাইকিং। মধ্যরাত পর্যন্ত চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। ঘুম নেই প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর-এ-আলম সিদ্দিকী (নৌকা), বিএনপি’র প্রার্থী বর্তমান মেয়র পৌর বিএনপি’র সভাপতি শাফী খান (ধানের শীষ) ও সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম শফিকুল ইসলাম সাফি তালুকদার (নারিকেল গাছ)।

এছাড়া পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনী মাঠ ঘুরে জানা যায়, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকায় আওয়ামী লীগের নূর-এ-আলম সিদ্দিকী খুব শক্ত অবস্থানে আছেন। শক্তিশালী প্রার্থী নূর-এ-আলম সিদ্দিকী কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং সেবামূলক কাজে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপক অনুদান দিয়ে আসছেন। সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারণায় সভা, বৈঠক ও মতবিনিময়সহ ব্যাপক গণসংযোগ করছেন।

এদিকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এলেঙ্গা পৌরসভার বর্তমান মেয়র এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি শাফী খান ও এলেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এক সময়ের জাতীয় পার্টির নেতা বিএনপিতে সদ্য যোগদানকারী সাফি তালুকদারের মধ্যে। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি শাফী খানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়।

এদিকে এসএম শফিকুল ইসলাম (সাফি তালুকদার) বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিগত পৌর নির্বাচনে তিনি ২য় স্থান অধিকার করেছিলেন।

স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জানিয়েছেন- বিএনপির প্রার্থী শাফী খানের সাথে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির বিরোধ রয়েছে। এদিকে সাফি তালুকদারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় বিএনপির বৃহৎ একটি অংশ।

বিএনপির প্রার্থী শাফী খান বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। বিএনপির ভোটার এবং কর্মী-সমর্থকরা ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যবদ্ধ আছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন তার কর্মীদের গোপনে গোপনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এলেঙ্গা। বিএনপির মেয়র শাফী খান মানুষকে নাগরিক সুবিধা প্রদানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে পৌরবাসী আর ভুল করবেন না।

বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী সাফি তালুকদার বলেন, দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী প্রকাশ্যেই আমার পক্ষে কাজ করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমিই অবশ্যই জয়লাভ করবো।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে মোট ভোটার ৩১ হাজার ১৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৬৬৩ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৪৮২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১২টি, ভোট কক্ষ ৮২টি। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ১২ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৮২ জন এবং পোলিং অফিসার ১৬৪ জন দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে মোবাইল টিম ৪টি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ১টি, বিজিবি ২ প্লাটুন এবং র‌্যাবের ৩টি টিম কাজ করবেন। অপরদিকে সাধারণ কেন্দ্রের ভেতরে পুলিশ এবং আনসার মিলিয়ে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও এলেঙ্গা পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এলেঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এছাড়া নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

(আরকেপি/এসপি/মার্চ ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৪ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test