E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

কলারোয়ার খোরদোয় পর পর তিনটি হত্যা করলো প্রতিপক্ষের আমজাদ বাহিনী

২০১৯ এপ্রিল ২৫ ২৩:০৮:৫১
কলারোয়ার খোরদোয় পর পর তিনটি হত্যা করলো প্রতিপক্ষের আমজাদ বাহিনী

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : আমার প্রতিপক্ষ আমার বাবা জয়নুদ্দিন গাজিকে ১৯৯৫ সালে মারপিট করলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০১৪ সালে তারা আমার চাচা আয়েনউদ্দিন গাজিকেও বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। চাচা সেই আঘাত নিয়ে ধুকে ধুকে মারা যান। তারা সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল আমার চাচাতো চাচা বজলুর রহমানকে মারপিট করে। এতে তিনিও মারা যান। পরে তারা প্রচার দেয় যে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

পরপর এই তিনটি হত্যার ঘটনা যারা ঘটালো তারা কিভাবে আইনের উর্ধ্বে থাকে এমন প্রশ্ন রেখে কলারোয়ার খোরদো গ্রামের আনারুল ইসলাম বলেন বিবেকের তাড়নায় আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আপনাদের মাধ্যমে আমি তাদের বিচার চাই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন আনারুল। লিখিত বক্তব্যে খোরদোর জয়নুদ্দিন গাজির ছেলে আনারুল বলেন খোরদো মৌজায় জেএল ১০৩,এসএ খতিয়ান ২৭ ও ২৪ দাগ নম্বর ১৯৪৯,১৯৪৮ এ ৬৬ শতক জমি পৈতৃক ও খরিদা সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ১৯৭০ সাল থেকে তিনি ও তার পরিবার ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু তার চাচাতো চাচা খোরদোর আমজাদ গাজি, সাবুর গাজি, ফজলুল গাজি, লিটন গাজি, খোকন ওরফে বিল্লাল, আনের গাজি, মো. মাসুম গাজি ওই জমি দখলেল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাদের সহায়তা করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওই জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তারা আনারুলেল পিতা জয়নুদ্দিন গাজিকে মারপিট করলে তিনি মারা যান। ২০১৪ সালে তারাই আনারুলের চাচা আয়েনউদ্দিন গাজিকে মারধর করে। এতে তিনিও মারা যান কিছুদিন পর। তিনি জানান ওই জমিতেই তার বাবা চাচা ও দাদা দাদিকে কবরস্থ করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আনারুল বলেন গত ১৩ এপ্রিল ওই সম্পত্তিতে থাকা আতা গাছের ডাল কাটেন আমজাদ হোসেন। এতে আমজাদের ভাই বজলুর রহমান বাধা দিয়ে বলেন এ জমিতে ১৪৫ ধারা জারি রয়েছে। আতা গাছের ডাল কেটে তুমি আইন ভঙ্গ করেছো। আনারুল বলেন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমজাদ তার আপন ভাই বজলুর রহমানের মাথায় ও দেহে সজোরে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান বজলুর রহমান। পরে বিপদ এড়াতে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন এই প্রচার দিয়ে আমজাদ বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে। বজলুর রহমানের পরিবারও আমজাদ বাহিনীর সন্ত্রাসের মুখে এ নিয়ে মামলা করতে সাহস করেনি। আমজাদ বাহিনী তার স্ত্রী ও ছেলেকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।

আনারুল বলেন অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল নেওয়ার জন্য তারা একর পর একজনকে খুন করছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের যারা হত্যা করলো তারা যেনো আইনের জাল থেকে মুক্ত হতে না পারে। আনারুল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test