E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

২০২০ ডিসেম্বর ১১ ২৩:৩৪:০৮
ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : চাকুরিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের সহকারি ইনসট্রাক্টর ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শহীদুর রহমান সম্প্রতি আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার বাদির অভিযোগ তারা সাক্ষ্য প্রদানকালে ইয়াছিনের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযোগ তুলে ধরতে পারলেও তদন্তকারি কর্মকর্তা অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে আদালতে এ মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

ইয়াছিন আলী আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে ও বর্তমানে শহরের মুনজিতপুরে বসবাস করেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, ইয়াছিন আলী একজন সুচতুর, ধুরন্ধর, পরসম্পদলোভী ও নাারীলোভী। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই তিনি সাতক্ষীরা সদর রিসোর্স সেন্টারে সহকারি ইনসট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত। মামলার বাদিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ দেশে ফিরিয়ে আনেন ইয়াছিন।

কু’প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বাদির স্বামীকে পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হুদাকে দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তিনটি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। জেলে পাঠানোর আগে স্বামীকে ছাড়িয়ে দেওয়ার শর্তে বাদির কাছ থেকে কয়েকটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। বাদিকে খাগড়াছড়ি থানার একটি তদন্তাধীন মামলায় গ্রেপ্তার করিয়ে জেল খাটানো হয়। গত ২৬ অক্টোবর রাতে বাদির বাড়িতে যেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ইয়াছিন আলী। বাদির অষ্টম শ্রেণীর পড়–য়া ছেলে জাপটে ধরলে তাকে কিল ঘুষি মেরে ইয়াছিন পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে গত ২৯ অক্টোবর সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ভারপ্রাপ্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশাশুনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা শহীদুর রহমান গত সোমবার ঘটনা সতদ্য নয় মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে তিনি প্রতিবেদনের সঙ্গে সাক্ষীদের যে জবানবন্দি জমা দিয়েছেন তাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শহীদুর রহমান বলেন, তিনি কোন অণিয়মের আশ্রয় না নিয়েই যথাযথ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৪ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test